শেখ সাখাওয়াত হোসেন পাবনা (জেলা) প্রতিনিধি: সারা দেশের ন্যায় পাবনার ঈশ্বরদীতেও অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে শহরের প্রতিটি ক্লিনিকেই সর্দিজ্বর নিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষার্থীদের লাইন ক্রমশ লম্বা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ঈশ্বরদী উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত একজনের মৃত্যুসহ মূমুর্ষ্য অবস্থায় প্রায় ডজন খানেক রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে ঈশ্বরদী উপজেলার হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলোর তথ্যমতে আক্রান্তদের অধিকাংশই রুপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার পয়েন্টে কর্মরত কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। তবে প্রথমে নিউক্লিয়ার কর্মীদের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তা ছড়িয়ে পড়েছে সকল পেশার জনগনের মধ্যে। যার প্রতিফলন মিলছে প্রতিদিন তীব্র জ্বর, পেটব্যাথা, বমি ভাব লাগা রোগীদের দীর্ঘ লাইন দেখে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্লিনিক কর্মী বলেন, গত তিন চারদিন ধরে সর্দিজ্বরের রোগীর পরিমান বেড়েছে কয়েকগুন। শুধু তাই নয় তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষার পর শতকরা প্রায় ৮০% ভাগ রোগীর শরীরে ডেঙ্গু রোগের ভাইরাসের প্রমান মিলছে।
বেসরকারী ক্লিনিকগুলো থেকে ডেঙ্গু পজেটিভ রিপোর্ট নিয়ে বের হওয়া একাধিক রোগীর থেকে জানাগেছে তাদের নমুনা পরীক্ষায় ডেঙ্গু পজেটিভ এলেও উল্লেখ্য কোন নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন না কর্তব্যরত চিকিৎসকগন। ফলশ্রুতিতে সে আর দশজনের মতই জীবন যাপন করছে এতে করে আক্রান্ত রোগীসহ পরিবার এবং প্রতিবেশীদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে ক্রমশ।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা: মনিসর চৌধুরী বলেন, আক্রান্তদের বেশির ভাগই রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত। কয়েকজন ঢাকা থেকেও অসুস্থ হয়ে এসেছেন। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, জেলায় এখন পর্যন্ত এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। ময়লা-আবর্জনা জমে আছে এমন এলাকায় স্প্রে করা হচ্ছে। সামাজিকভাবেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।