আজ বুধবার দিন বন্যায় আক্রান্ত সিলেট শেরপুর- নদীর চর এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তরুণদের নিয়ে গড়া একটি দল। তার আগে দলটি আগেরদিন মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা চান্দিনা থানার ভোমরকান্দি গ্রাম হতে রওনা দিয়ে ভোরবেলা গিয়ে পৌঁছায় সিলেটে বন্যা আক্রান্ত দূর্গম এলাকায়।
এই পোগ্রামটি সফল করার পিছনে উদ্যােগ নিয়ে কাজ করেন বরুড়া থানার শাহাপুর গ্রামের পিতা মোহাম্মদ জসীমউদ্দিনের সন্তান মোহাম্মদ তুসার আহমেদ হাসান, চান্দিনা থানার ভোমরকান্দি গ্রামের পিতা মৃত মোহাম্মদ এরশাদ মুন্সির সন্তান মোহাম্মদ তানভীর মুন্সী, এছাড়াও পিতা মোহাম্মদ বাবুল মিয়া মুন্সীর সন্তান মোহাম্মদ তারেক হোসাইন মুন্সী, এবং আরো কাজ করেন পিতা মোহাম্মদ সোলাইমানের সন্তান মোহাম্মদ হানজালা। এ যুবকরা সকলে মিলে সারাদিন ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন, বহুদূর ক্লান্তিকর পথ কুমিল্লা থেকে সিলেট গিয়ে দূর্গম এলাকায় ত্রান দেওয়া সহজ কাজ ছিলো না, তরুনরা চাহিলে অনেক কঠিন কাজও সম্ভব, তাদের এই আয়োজন ছিলো মাত্র ২ দিন আগে প্রস্ততি এই অল্প সময়ে ২০-২৫ বছরের এ তরূণদের এটি অসাধারণ কাজ, এটি ছিলো অসাধারণ একটি আয়োজন।
এটি একটি শিক্ষনীয় অনুকরণীয় কাজ অন্যান সকল তরুণদের জন্য বিপদে ইচ্ছে থাকিলে কিভাবে এগিয়ে আসা যায়, এই ত্রান সামগ্রী আয়োজনে প্রায় লক্ষাধিক টাকার সংগ্রহে বিভিন্ন দেশের বহু প্রবাসী ও বাংলাদেশের অনেক মানুষ এগিয়ে এসেছেন। বিপদের দিনে এক মুসলমান অন্য মুসলমানের বিপদে এগিয়ে আসবে এটা ঈমানি দ্বায়িত্ব, একজন মানুষ অন্য মানুষের বিপদে এগিয়ে আসবে এটাই আমাদের সবার নৈতিক দ্বায়িত্ব।
আজকে এই ত্রান সামগ্রী বিতরণে করতে গিয়ে তানভীর- হাসান জানানঃ বন্যায় আক্রান্ত মানুষের বিপদ চোখে পড়েছে এমন বিপদ মানুষের কান্না আহাজারি দেখে তারা সবাই বেদনা সিক্ত হয়েছেন, তবে সবচেয়ে সুসংবাদ হলো দিনদিন বন্যার পানি কমা শুরু হয়েছে।
এছাড়াও মোহাম্মদ তারেক হোসাইন মুন্সি জানান তাদের ত্রান কার্যক্রমটি নদীর চর এলাকায় ছিলো যেখানে কেউই এখনো ত্রান নিয়ে যায়নি তারাই প্রথম ঐ এলাকায় গিয়েছেন ত্রান পৌছে দেওয়ার জন্য, এটাও জানান এখনো প্রচুর মানুষের অনেক সাহায্য প্রয়োজন।
তাদের ভারী ত্রান কার্যক্রমে ছিলো প্রতি পেকেটেঃ স্যালাইন, বিভিন্ন ঔষুধ, চাউল, তেল, আলু, পেয়াজ, লবন, পানি।
আজ ১ম ধাপের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে, সবাই জানান পরবর্তী ২য় ধাপে সুনামগঞ্জ আরো দূগর্ম এলাকায় বিতরন করা হবে।
আজ তরুণদের চমৎকার এই আয়োজন ছিলো সত্যিই প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয় আল্লাহ তাদের অসাধারণ কাজ পরিশ্রম গুলো কবুল করুন-আমিন।
বন্যায় আক্রান্ত মানুষের পাশে যে যার অবস্থান থেকে দাঁড়ানো উচিত বিপদে এগিয়ে আসা উচিত।
তাইতো মাওলানা জালালউদ্দীন রুমী রহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেনঃ যদি থাকে অতুল দান করো তোমার সম্পদ,
যদি কিছুই না থাকে তবে দান করো তোমার হৃদয়।আমাদের দেশের এই মহা দূর্যোগের সময়ে সকল স্তরের মানুষের এগিয়ে আসা উচিত এর পাশাপাশি বন্যার পরবর্তী সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির ঘরবাড়ি পূর্ণবাসন জরুরি।