স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ায় পবিত্র ঈদুল আজহা’র নামাজের ঈমামতি করলেন বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল।
১৯৯৬ সাল থেকে দীর্ঘ সাতাশ (২৭) বছর ধরে বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের “হুয়াকুয়া ঈদ গাহে” ময়দানে ঈদের নামাজের ঈমামতি করেন তিনি। তবে বগুড়া জেলার বৃহত্তর ঈদের নামাজ এটি।
বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারনে গত দুই বছর ও গেল বছর বৃষ্টির কারনে ঈদ গাহে মাঠে নামাজ আদায় ও ঈমামতি না করলেও মসজিদেও ঈদের নামাজের তিনি ই ছিলেন ঈমাম হিসাবে। এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলার কারণে তিন বার কারাগারেও ঈদের নামাজ পড়তে হয়েছে কিন্তু কারাগারেও ঈমামতি তিনি ই করান।
চলতি বছর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ও আবহাওয়া ভাল থাকায় তিন বছর পর রবিবার (১০ জুলাই) সকাল ০৮ টায় আবার ঈদুল আযহা’র নামাজ প্রায় ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার মুসল্লিদের নিয়ে (মহিলাসহ) বরাবরের মতো জামাতের ইমামতি করেন এই স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল।
মাজেদুর রহমান জুয়েল সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লার মরহুম ছালজার রহমান মাষ্টারের ছেলে। সরকারি আযিযুল হক কলেজ, বগুড়া থেকে বিএ অনার্স (ইসলামেরর ইতিহাস) এম এ(ইসলামিক স্টাডিজ) করেন ও ১৯৯৮ সালে মাষ্টার্স পাস করেন।
তার পিতাও ছিলেন একজন শিক্ষক, ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাষ্টার্স করে বড় বড় চাকরির অফার প্রত্যাখ্যান করে গ্রামে এসে ৪টি হাইস্কুল ও ২টি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন এবং নিজে পাকুল্লা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
‘হুয়াকুয়া ঈদ গাঁ’ বগুড়া জেলার বৃহত্তম ঈদের মাঠ এটি।
এলাকার মুসল্লিরা বলেন, মাজেদুর রহমান জুয়েল কারাগারে থাকায় দেশবরেণ্য আলেমদের অনেকে এখানে এসেছেন ঈদের নামাজ পড়িয়েছেন, কিন্তু মাজেদুর রহমান জুয়েল ছাড়া নাকি তাদের অপূর্ণতা থেকে যায়।
মাজেদুর রহমাান জুয়েল কে এ বিষয়ে তার অনুভূতি জানতে চাইলে তিমি জানান, জানতাদের এই ভালোবাসা আমার জীবনের সার্থকতা। সবার দোয়া চাই যেন একজন ইসলামিক স্কলার হতে পারি।
এমন বড় জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করে খুশি এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
নামাজ শেষে নেতা প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ এর ছোবলে যেসব মানুষের মৃত্যু হয়েছে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়।