ববিন রহমান, বগুড়াঃ বগুড়ার সোনাতলায় ১৫ বছর বয়সী রাকিব হত্যার রহস্য উন্মোচন ও হত্যাকান্ডে জরিত ২ জনকে গ্রেফতার করছে বগুড়া পুলিশ ব্যুারো অব ইনিভিষ্টিগেশন (পিবিআই)।
রবিবার (০৫ জুন) বেলা ১১ঃ৩০ টায় বগুড়া পিবিআই এসপি আকরামুল হোসেন তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রাতের আধারে এক নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কে আগে লিপ্ত হবে তা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গাছের ডাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এরপর রাকিবকে ডাকা-ডাকি করে কোন সাড়া না পাওয়া গেলে আতঙ্কে পরে গলা টিপে হত্যা নিশ্চিত করে। পরে মাঠের মধ্যে এক ডোবার কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখে।
ঘটনার পরেই বগুড়া পিবিআই নিজ উদ্ব্যেগে মামলাটি গ্রহন করে তদন্ত কাজ শুরুর প্রথমেই গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার হিয়াতপুর গ্রামের মাসুম বিল্লাহ (১৫) নামের এক কিশোরকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে একই এলাকার আহসান হাবীব সজীব (২০) নামের এক যুবককে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। আটককৃতরা বলে তার একই এলাকার হওয়ায় নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক এবং প্রতিনিয়ত গভীর রাত পর্যন্ত ফ্রি-ফায়ার ও পাবজি গেম খেলতো। এছাড়া মাঝে মধ্যেই অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ভাড়া করা নারী নিয়ে আসতো। ঘটনার দিন আহসান হাবীব সজীব, রাকিব হোসেনকে জানায় একজন মেয়েকে ভাড়া করা হয়েছে। রাত ৮টার দিকে সোনাতলা পৌর এলাকার লাহিড়ীপাড়া মাঠের নিয়ে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হবে।
সে অনুযায়ী সজীব, রাকিব ও মাসুম বিল্লাহ ঐ মাঠে যায় এবং কে আগে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হবে তা তিনজনের মধ্যে তর্কের শুরু হয়। একপর্যায়ে রাকিবের হাতে থাকা সাপ কুকুর তারানো জন্য একটি গাছের ডাল সবিজ কেরে নিয়ে রাকিবের মাথায় ও কপালে আঘাত করে। এতে রাকিব মাটিতে লুটিয়ে পরে। এসময় রাকিবকে বার বার ডাকতে থাকলে কোন সাড়া না পাওয়ায় আতঙ্কে পরে তারা এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয় হত্যার করার সে অনুযায়ী সজীব রাকিবের গলা চেপে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
পরে সজীব ও মাসুম বিল্লাহ মরদেহ টেনে হেঁচরে পাশের একটি ডোবার মধ্যে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, মাত্র ১২ ঘন্টার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর হত্যা ঘটনার ক্লু উদঘাটন, আসামীদের গ্রেফতার ও হত্যা কান্ডে ব্যাবহৃত গাছের ডাল উদ্ধার করা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামী আহসান হাবীব সজীব ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
প্রসঙ্গত শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা পুলিশ ফাড়িঁর সন্নিকটেই বসবাসরত মমতাজ নামের পতিতার সর্দার নামের আলোচিত এই নারীর কাছে থেকেই পতিতাদের ভাড়া করে থাকে বিভিন্ন এলাকার পুরুষরা। তবে কেন এর কোন ব্যাবস্থ্যা নেয়া হয়না এ নিয়ে প্রশ্ন জনমনে। সাধারন মানুষগুলো বলছেন এহেন হত্যা কান্ডের পেছনের যে কারন আর খুজে বের করলো পিবিআই তা হলো ভাড়ায় নিয়ে আসা নারীর সাথে অবৈধ মেলামেশার সিরিয়াল নিয়ে। অর্থাৎ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হবে এই মমতাজের অবৈধ নারী ব্যাবসা।