শেখ সাখাওয়াত হোসেন পাবনা (জেলা) প্রতিনিধি:
গত এক যুগে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার বদলে এটিএম বুথ ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। যখন খুশি তখন এমনকি ৫০০ টাকাও নির্বিঘ্নে তোলা যায় বলে হাতে নগদ টাকা রাখার বদলে কার্ড পকেটে নিয়ে ঘোরাই শ্রেয় মনে করছেন গ্রাহকরা। এই অভ্যাস তৈরি হওয়ার পর দীর্ঘ ছুটিতে আসলে হাতে নগদ টাকার পরিমাণ থাকে কম। তাই বুথে টাকা উত্তোলন করতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষোভটা আরও বেশি। দীর্ঘ ২ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তোলেন গণমাধ্যমে কর্মরত সাকিবুর রহমান।
সাকিবুর রহমান দৈনিক প্রত্যয় কে বলেন, ‘বুথ সংকটের কারণেই কী এ সমস্যা? টাকা উত্তোলন করতে দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। প্রয়োজনের সময় যদি টাকা তোলা না যায় তবে বুথ রেখে লাভ কী?’ তবে কয়েক বছর আগে ভাঙ্গুড়ার মানুষের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথ চালু হওয়ায় অনেক সুবিধা ভোগ করছেন গ্রাহকরা।
ঈদের ছুটি শুরুর পরপরই অধিকাংশ ব্যাংকের এটিএম বুথে গিয়ে টাকা তুলতে যান গ্রাহকরা। টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে গ্রাহকরা দুর্ভোগে পড়ছেন। এ নিয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ তারা। অবসরে টাকার চাহিদা বেশী থাকে তাই গ্রাহকরা বুথে আসেন টাকা উত্তোলনের জন্য।
ঈদের আগের দিন বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সরেজমিন ভাঙ্গুড়ার ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথে উত্তোলনের চিত্র দেখা যায় টাকা তুলতে আসা গ্রাহকরা লাইনে দাড়িয়ে আছেন। প্রচন্ড রোদ ও গরমে ছাতা এবং হাতপাখা নিয়ে লাইনে অপেক্ষা করছেন। বয়স্ক অনেক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলেও দেখা যায়। টাকা উত্তোলন করতে আসা সেনা সদস্য খালিদ বিন ওয়ালিদ বলেন, যমুনা ব্যাংকের বুথ চালু হওয়ায় কিছুটা ভোগান্তি কমেছে এ বুথে। বুথের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের কেনাকাটার জন্য টাকা উত্তোলন বেড়েছে। সে জন্য অনেকেই আসছেন টাকা উত্তোলন করতে।
যমুনা ব্যাংকের বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মো. আতিকুর রহমান বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে গ্রাহকদের টাকা উত্তোলনে চাহিদা বেড়ে যায় বহুগুণে। সকাল থেকেই পর্যাপ্ত ভিড় চোখে পরার মত। তবে সুশৃংখলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা উত্তোলনের সহযোগিতা করছি। ব্যাংক কর্মকর্তাদের নির্দেশে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন বলেও জানান তিনি।
গ্রাহকরা গত কয়েক বছর ধরেই বলে আসছেন ভাঙ্গুড়ায় বুথে পর্যাপ্ত টাকা থাকলেও বুথের সংখ্যা কম থাকায় কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। নেটওয়ার্ক সমস্যা এবং কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে জটিলতা তেমন দেখা যায় না। তবে যে কোন ব্যাংকের বুথের সংখ্যা বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন গ্রাহকরা।