প্রত্যয় উদ্যোক্তা ডেস্কঃ “পাপিয়া ঝুমুর” নামের মধ্যেই একটা ছন্দ আছে তাঁর। ছোটবেলাটা কেটেছে মায়ের হাতের কাজ দেখে দেখে। তাই নিজের ভেতরে লালন করেছেন মায়ের সূতোর সূক্ষ্ণ কাজগুলোকে।উদ্যোক্তা হওয়াটা পাপিয়া ঝুমুরের রক্তে মিশে আছে। মা-ও একজন উদ্যোক্তা ছিলেন। মায়ের কাজে সবসময় সাহায্য করতেন তাই বড় হয়ে উদ্যোক্তা হওয়াটা সহজ ছিলো তার।
উদ্যোক্তা হওয়াটা সহজ হলেও অনেক বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে আজ এপর্যন্ত এসেছেন। তিনি লাখোপতির খাতায় নাম লিখিয়েছেন আরও আগে। তবে অনলাইন গ্রুপ Queendom’s থেকে নিজের হাতের দক্ষতায় তিনি আবারও লাখোপতি হলেন। প্রমাণ দিলেন পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।
কিশোরগন্জের মেয়ে পাপিয়া পড়াশোনা করেছেন বাংলা বিষয়ে। ৫ বছরের জন্য সরকারি ROSC প্রজেক্টে প্রাইমারী আনন্দ স্কুলে চাকরিও করেছেন।
প্রজেক্ট শেষ হবার পরেই ছোট পরিসরে অনলাইন বিজনেস শুরু করেন। এটারও ৩ বছর হয়ে গেলো।
বর্তমানে চাকরির চিন্তা একদম বাদ দিয়েছেন। তার অনলাইন বিজনেসকে ছোট থেকে বড় করার ইচ্ছে আছে । আরও সামনে এগিয়ে যেতে চান তিনি তাঁর *অপ্সরা বুটিক * কে নিয়ে। সবার দোয়া কামনা করেছেন তিনি।
তিনি Queendom’s গ্রুপের এডমিন, মডারেটস, এবং সকল সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য Queendom’s গ্রুপ থেকে এই প্রথম কোন উদ্যোক্তা লাখোপতি হয়েছেন, তবে অর্ধ লাখোপতির তালিকায় আছেন আরও কয়েকজন নতুন নারী উদ্যোক্তা।
Queendom’s নারীদের স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যেই মূলত গড়ে উঠেছে। নারীর স্বাবলম্বী হওয়ার পথে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে Queendom’s গ্রুপ।
পাপিয়া ঝুমুর বলেন, এটা সত্যি একটা মাইলফলক, নতুন একটা পরিবার Queendom’s ( রানীদের রাজ্য) গ্রুপ, অথচ খুব অল্প সময়ে সবার আন্তরিকতা আর আমার প্রচেষ্টায় শুধু এখানেই বিক্রি হয়েছে আমার লাখ টাকার পণ্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা সকলের প্রতি।
পাপিয়া ঝুমুরের মতো সামনে আরও নারী উদ্যোক্তা লাখোপতি হয়ে বেরিয়ে আসবে এই গ্রুপ থেকে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
আর ও পড়ুনঃ “অর্গানিক স্পেশাল মশলা”য় একজন নারীর পথচলা