আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্কুলটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় তিনশ। শিক্ষক মাত্র দুই জন। সম্প্রতি এক শিক্ষক স্কুলে জয়েন করলেও তিনি এখন ছুটিতে। তারপর স্কুলে কোনো নিয়োগই হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে স্কুল বাঁচিয়ে রাখায় দায়িত্ব নিয়েছেন গ্রামেরই ১০ জন ব্যক্তি। গত ১০ বছর ধরে বিনা পারিশ্রমিকে তারাই পড়াচ্ছেন ওই স্কুলে।
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের রামপুরহাট এলাকার চাঁদপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালের ২ জানুয়ারি। তখন স্কুলে নিয়োগ পান মাত্র দুই শিক্ষিকা। তারপর একজন এলেও তিনি এখন ছুটিতে। এক সময়ে এই স্কুলের ছাত্রী সংখ্যা ছিল ৫৫০। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩০০। শিক্ষক না থাকায় শুরু থেকেই এই স্কুলে পড়াচ্ছেন ১০ গ্রামবাসী। এরা সবাই বিনা পারিশ্রমিকেই পড়াচ্ছেন। এমন এক অবস্থায় স্কুলটিকে কতদিন বাঁচিয়ে রাখা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা পূর্ণিমা সরকার বলেন, ২০১২ সালে এই স্কুলটি শুরু হয়। তখন থেকেই গ্রামবাসীরা এই স্কুলের সঙ্গে জড়িত। ২০১৩ সালে আমরা এসএসসির মাধ্যমে এখানে নিয়োগ পাই। আমি ও আরও একজন ম্যাডাম এখানে জয়েন করি। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত গ্রামবাসীরা মিলে স্কুলটি চালিয়ে যাচ্ছি। তারপর থেকে একজন নিয়োগ পেয়েছিলেন। তবে তিনি এখন ছুটিতে। আমরা বহু দূর থেকে আসি। চলে যাওয়ার কথা ভাবতেই পারিনি। কারণ নিজেদের হাতে এই স্কুলে ইট গেঁথেছি। এর সঙ্গে একটা আবেগ আমাদের জড়িত রয়েছে। শিক্ষিকার অভাবে হয়তে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে এই সমস্যা সমাধান খুবই জরুরি। এটি এলাকার একমাত্র গার্লস স্কুল।
সূত্র: জিনিউজ