প্রধান প্রতিবেদক: সংগীত ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার দায়েশিক্ষক রনজিৎ পাঠোওয়ারী ৮ বছর সাজা ৫লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২বছর জেল ।১ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ সালের ১০ ধারায় এই রায় প্রদান করেন। রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ.ই.এম ইসমাইল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
রাঙামাটির আসামববস্তী সংগীত ও প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের মামলায় শিক্ষক রনজিত পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে ৮ বছরের সাজা ও ৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ.ই.এম ইসমাইল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯সাল থেকে ২০২১সালের মার্চ মাস পর্যন্ত আসামি ভিকটিমের প্রাইভেট শিক্ষক হওয়ার সুযোগে প্রায় দুই বছর ধরে বিভিন্ন সময় যৌন কামনা চরিতার্থের উদ্দেশ্যে স্পর্শকাতর স্থানে হাতদেন এবং ছাত্রীকে বিভিন্ন ভাবে অশালীন আচরণ করে আসছিল যা ভিকটিম ২০২১সালের ১০মার্চ পুরো ঘটনা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার মামলা করলে আসামি সংগীত শিক্ষক রনজিত পাটোয়ারীকে পুলিশ আটক করে। আসামি তার ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের চেষ্টা করেছে মর্মে রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে আদালতকে প্রমাণ করেত সক্ষম হওয়ায়, আদালত আসামি রনজিত পাটোয়ারীকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১০ ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধে দোষী সাবাস্ত করে রায় দেন।
রায়ে আরও উলেøখ্য করা হয়, উক্ত অপরাধে দায়ে শিক্ষক রনজিত পটোয়ারীকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং এর অতিরিক্ত ৫ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় ১২/৬/২০২১ সালে মামলাটি দায়ের করা হয়।
অন্যদিকে আসামী সংগীত শিক্ষক নিজের ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টার দায়ে সংগীত পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন। তৎপরবর্তীতে আদালতে ৮জন সাক্ষ্য গ্রহণ দিয়েছেন আসামীর পক্ষে কেউ সাক্ষী দেয়নি বলে আদালত সুত্রে জানায়। অধিকন্তু, আসামিকে যথোপযুক্ত সাজা প্রদান করা হলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় বসবাসরত পাহাড়ী, বাঙ্গালীসহ সকল ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর জনগণের নিকট পুনরায় এই বার্তা যাবে, যে আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান এবং বিচার বিভাগ সকলের জন্যই উন্মুক্ত।