স্টাফ রিপোর্টারঃ গত বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বগুড়া শহরের কানুছগাড়ী ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের পূর্ব প্বার্শে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে দুর্বৃত্তদের হাতে ধারালো ছুরি দ্বারা খুন হন খাইরুল ইসলাম সুমন।
এ হত্যার ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামী কে গ্রেফতার করেছে বগুড়া জেলা পুলিশ।
এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বাবু (২৭) নামে এক সন্ত্রাসীকে। গ্রেফতারকৃত বাবু গাবতলী উপজেলার সোনারায় গ্রামের আব্দুস সামাদ এর পুত্র। বাবু কানুছগাড়ী এলাকার মাসুম ঠিকাদারের বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিপিএম সেবা তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টায় ভিকটিম খায়রুল ইসলাম সুমন কানছগাড়ী ইবনেসীনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পূর্ব পাশ্বে পাকা রাস্তার উপর প্রাইভেট কার থামিয়ে আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আসামী বাবুর সাথে তর্ক বির্তক হয়। তখন ভিকটিম সুমন তার গাড়িতে উঠে বসলে বাবু ও তার অপর সহযোগীরা প্রাইভেট কারের গ্লাস ভেঙে সুমনকে বের করে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। সুমন প্রাণ বাঁচাতে পাশ্ববর্তী বিএইচ ফার্মেসীতে প্রবেশ করে। সন্ত্রাসীরা সেখানে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাত ও পায়ে উপর্যুপরি আঘাত ও রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর সুমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সে মারা যায়। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামী বাবুকে আদালতে হাজির করা হলে সে (ফৌঃকাঃ বি) ১৬৪ ধারায় ঘটনার বর্ননা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। পুলিশ সুপার আরো জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।