চৌধুরী হারুনুর রসিদ,রাঙামাটি প্রতিনিধি:
পাহাড়ে চুক্তির ২৩তম বর্ষপুতি পৃথক পৃথকভাবে পালিত হয় । বিকাল ২ঘটিকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের হল রুমে চুক্তি ২৩তম বর্ষপুর্তি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ও স্বাক্ষরিত চুক্তির অন্যতম সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা আলোচনার সভার আহবায়ক হিসাবে বলেন, চুক্তির মৌলিক বিষয় এখনো বাস্তবায়ন হয়নি । ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচন ও আঞ্চলিক পরিষদ কোন কার্যক্রম ভুমিকা রাখতে পারছে না । পাহাড়ে যে কোন উন্নয়ন প্রকল্পের তদারকি -মনিটরিং করার সুযোগ নেই । তাই চুক্তি পুর্ণ বাস্তবায়ন ছাড়া সমস্যা সমাধান সম্ভব নয় ।
অন্যতম বক্তা ছিলেন ,আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা,মুখ্য নিবার্হী কর্মকতা নির্মল কান্তি চাকমা,আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য নুরুল আলম,নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) সুবর্ণা চাকমা,সুশীল সমাজের প্রতিনিধি জিসান বখতেয়ার ,সমাজ সেবক হারুন মাতব্বর ও সাংবাদিক চৌধুরী হারুনুর রশীদ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ- সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা একটি জাতীয় ও রানৈতিক সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর সরকার ও পার্বত্য জনসংহতি সমিতির মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। শান্তি চুক্তির সময় অস্ত্র জমা দিয়েছি কোন কিছু রেখে আসি নাই স্বাভাবিক জীবনে এসে নিরাপদে থাকবো শান্তিতে থাকবো এই আশা নিয়ে চুক্তি করেছি অন্য কিছুর উদ্দেশ্য নয় কিন্ত এখন যে জনসংহতি সমিতিকে অস্ত্রধারী বলা হচ্ছে ।
২ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১০ টায় রাঙামাটি শিল্পকলা একাডেমি হল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি রাঙামাটি জেলা কমিটির উদ্যেগে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ঊষাতন তালুকদার এসব কথা বলেন।
ঊষাতন বলেন, চুক্তি আজ ২৩বছর অতিক্রম হলেও আজও চুক্তির মৌলিক বিষয় গুলো পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে পার্বত্য চট্রগ্রামকে উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণে আইনী ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি, পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ সাধরণ প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা,পুলিশ, ভূমি ও ভ’মি ব্যবস্থাপনা, বন ও পরিবেশ, পর্যটন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নইত্যাদিসহ রাজনৈতিক, প্রশাসিনক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং কার্যাবলী সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। যার ফলে পার্বত্য অঞ্চলে এখন অস্থিতিশীল পরিস্থতি সৃষ্টি হয়েছে।
ঊষাতন আরো উল্লেখ্য করে বলেন,পাহাড়ের মানুষ দেশের উন্নয়ন চাই। পাহাড়ের মানুষ দেশের অস্থিতিশীলতা চাইনা। পার্বত্যবাসী ২৪ বছর সংগ্রাম করে চুক্তি করেছে চুক্তি বাস্তবায়ন জন্য এখনও সংগ্রাম কওে চলেছে এবং যতো দিন পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন না হয় ততোদিন পর্যন্ত সংগ্রাম করে যাবে বলে তিনি বলেন।
তার আগে সকাল ১১ ঘটিকায় চুক্তি ২৩ তম বর্ষপুর্তি উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের জেলা কার্য্যলয়ে আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন,শান্তি চুক্তি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন করা হবে । এটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার । ৪ খন্ডে ৭২টি ধারার মধ্যে ইতিমধ্যে ৪৮টি ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে কিছু যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে ।